Header Ads

চীন ভারতের সামরিক শক্তি - যুদ্ধ বাধলে কে বিজয়ী হবে


লাদাখ, যে স্থানে ভারত ও চীন বর্তমানে সম্মুখ সমরে প্রস্তুত। চীন দাবি করছে ভারত তাদের উভয়ের মাঝের বিরোধপূর্ণ সীমানা লংঘন করেছে এবং ভারতও ঠিক একই ধরনের দাবী করছে চীনের বিরুদ্ধে। এছাড়া রাস্তা নির্মাণ এবং সীমান্ত আইন লংঘন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় বিরোধ লেগে থাকে। বর্তমানে লাদাখ সীমান্তে দুই দেশ যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে ফলে বিশ্বব্যাপী মানুষের কৌতুহল কাজ করছে ভারত ও চীন দুই দেশের সামরিক শক্তি কেমন তা জানার জন্য। যুদ্ধ বাধলে কোন দেশ জিতবে? আজকের পর্বে আমি আপনাদের জানাবো চীন ও ভারতের সামরিক শক্তি এবং তাদের সামরিক ক্ষমতার পার্থক্য।

আমরা আজ দুই দেশের সামরিক শক্তির চুল চেরা বিশ্লেষণ করবো এবং জানার চেষ্টা করবো কার শক্তি বেশি। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী এই ৩টি ভাগে আমরা আজ আলোচনা করবো।

সেনাবাহিনী:


ভারতের প্রতি বছরের সামরিক বাজেটের পরিমাণ ৫৫.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চীনের সামরিক বাজেটের পরিমাণ ২২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের জিডিপির ২.৫ শতাংশ অর্থ প্রতিবছর সামরিক খাতে খরচ হয়ে যায়, সেখানে চীনের খরচ হয় মাত্র ১.৯ শতাংশ। ভারত মোট বাজেটের মাত্র ৯ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যায় করে থাকে সেখানে চীন ৩৭ শতাংশ অর্থ সামরিক বাহিনীর উপর খরচ করে থাকে।

ভারতের মোট সৈন্যের সংখ্যা ২১ লক্ষ ৪০ হাজার, আর চীনের মোট সৈন্যের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ১০ হাজার। ভারতের রিজার্ভ সৈনিকের সংখ্যা যেখানে মাত্র ১১ লক্ষ ১৫ হাজার, সেখানে চীনের রিজার্ভ সৈনিকের সংখ্যা ৮০ লক্ষ। যুদ্ধ বাধলে মাঠে যুদ্ধ করার মতো জনশক্তি আছে ভারতের ৩১ কোটি ৯১ লক্ষ ২৯ হাজার জন এবং চীনের জনশক্তি আছে ৩৮ কোটি ৫৮ লক্ষ ২১ হাজার জন। ভারতের মোট সৈন্য সংখ্যার ৯৩ শতাংশ সক্রিয় কিন্তু চীনের সেখানে ১০০ শতাংশই সৈন্য সর্বদা সক্রিয়।


ভারতের ট্যাংক আছে ৪৪২৬টি, চীনের আছে ৭৭৬০টি, ভারতের যুদ্ধযান আছে ৫৬৮১টি, চীনের আছে ৬০০০টি। ভারতের মোট আর্টিলারি আছে ৫০৬৭টি, চীনের আছে ৯৭২৬টি। ভারতের স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি আছে ২৯০টি, চীনের আছে ১৭১০টি। ভারতের রকেট আর্টিলারি আছে ২৯২টি, চীনের রয়েছে ১৭৭০টি। ভারতের মোট মিসাইলের সংখ্যা ৫হাজারটি এবং চীনের আছে ১৩ হাজারটি। ভারতের মিসাইলের সবোচ্চ নিক্ষপনের দুরত্ব ৫হাজার ৮০০ কিলোমিটার এবং চীনের সবোচ্চ ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানার সক্ষমতা আছে।

বিমান বাহিনী:


স্থলভাগে দেখলেন চীন ভারতের থেকে কত শক্তিশালী। এবার আমরা দেখবো দুই দেশের আকাশ শক্তি

ভারতের মোট বিমান আছে ২২১৬টি, চীনের আছে ৪১৮২টি। ভারতের যুদ্ধবিমান আছে ৩২৩টি, চীনের আছে ১১৫০টি। ভারতের মাল্টিরোল বিমান আছে ৩২৯টি, চীনের আছে ৬২৯টি। ভারতের এট্যাক যুদ্ধবিমান আছে ২২০টি, চীনের আছে ২৭০টি। ভারতের যুদ্ধে ব্যবহৃদ হেলিক্পটার আছে ৭২৫টি এবং চীনের হেলিকপ্টার আছে ১১৭০টি।

নৌবাহিনী:


দেখলেন আকাশ পথেও চীন ভারতের থেকেও অনেক বেশি এগিয়ে আছে সমর শক্তিতে। এবার আসুন আমরা জলশক্তিতে কোন দেশ এগিয়ে আছে দেখে আসি।


ভারতের মোট যুদ্ধ জাহাজ আছে ২১৪টি, চীনের আছে ৭৮০টি। বিমান বহন যোগ্য যুদ্ধ জাহাজ ভারতের আছে ২টি, এবং চীনেরও আছে ২টি। ডেস্ট্রোয়ারস ভারতের আছে ১১টি, চীনের আছে ৩৬টি। ফ্রীগেড ভারতের আছে ১৫টি, চীনের আছে ৫৪টি। করভেটস ভারতের আছে ২৪টি,, চীনের আছে ৪২টি। এবং ভারতের মোট সাবমেরিন আছে ১৫টি ও চীনের আছে ৭৬টি।

পারমানবিক শক্তি:


এবার আসা যাক সবচেয়ে ভয়ংকর শক্তি পারমানবিক শক্তির বিষয়ে। দুই দেশের পারমানবিক শক্তির বিচারে ভারতের থেকে বর্তমানে চীন এগিয়ে আছে। চীনের মোট পারমানবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা ২৯০টি আর ভারতের মোট সংখ্যা ১৪০টি। পারমানবিক শক্তিতে এশিয়াতে ভারতের অবস্থান তৃতীয়। কারণ ১৬০টি ওয়ারহেড নিয়ে পারমানবিক শক্তিতে পাকিস্থান আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

দর্শক, নিশচয়ই দেখলেন ভারত ও চীনের সামরিক শক্তি। দুই দেশের বিস্তারিত সামরিক শক্তির পাথক্য দেখে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যুদ্ধ বাধলে দুই দেশের মধ্যে কোন দেশ এগিয়ে থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.