Header Ads

সবচেয়ে লজ্জাজনক ৫টি ফুটবল ম্যাচ যা ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল


ফুটবল বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাফুটবল খেলা পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো এই পৃথিবীতে খুজে পাওয়া যাবে নাশক্তিশালী ফুটবল দলেরা যখন মাঠে জয়ের জন্য আপ্রাণ লড়াই করে তখন স্টেডিয়াম বা টিভি পর্দার সামনে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রুদ্ধশ্বাসে খেলা দেখেপ্রতিটি খেলা শুরুর আগে থেকেই দর্শকদের মধ্যে কাজ করে এক অন্যরকম উন্মাদনারপ্রতিটি দর্শকই চাই তার দল খেলায় জয় ছিনিয়ে আনুকআর যদি কোনও চির প্রতিদ্বন্দী দলের মধ্যে খেলা হয় তবে দর্শকরা চাই বিপক্ষ দলকে উড়িয়ে দিতেহ্যা, দর্শক, আমাদের আজকের পর্ব এমন উড়িয়ে দেয়া পাঁচটি ফুটবল ম্যাচ নিয়েআজকের পর্বে আপনাদের জানাবো বিশ্বের সবচেয়ে লজ্জার পাঁচটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ

৫. অস্ট্রেলিয়া ৩১-০ আমেরিকান সামোআ


২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকান সামোআর মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ফুটবলের অন্যতম একটি লজ্জার ম্যাচ হিসেবে ধরা হয়২০০১ সালের ১১ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ম্যাচটিযে সকল দর্শক এই ম্যাচটি দেখতে এসেছিলেন তারা মূলত ভিমড়ি খেয়েছিলেন ম্যাচের অবস্থা দেখেঅস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা এই ম্যাচে প্রতি ৩ মিনিটে একটি করে গোল করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলআর আমেরিকান ফুটবলারদের তখন অবস্থা ছেড়ে দেমা কেদে বাচিঅস্ট্রেলিয়ার আর্চি থমসন এই ম্যাচে ১৩ গোল করে একম্যাচে সবোর্চ্চ গোল করার রেকর্ড করেন৩১-০ গোলের এই ম্যাচটি এখনও পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক ফুটবলে সবোর্চ্চ গোলের ব্যবধানে জয়

৪. জার্মানী ১৩-০ সান মারিনো


২০০৮ সালের উয়েফা ইউরো বাছাইয়ের জামার্নী-সান মারিনোর ম্যাচটি চতুর্থ লজ্জার ম্যাচ হিসেবে আমরা ধরতে পারি২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই ম্যাচে জার্মানী ১৩-০ গোলে সান মারিনোকে পরজিত করেজার্মান স্ট্রাইকার লুকাস পডোলস্কি এই ম্যাচে ৪ গোল করে মূলত বিপক্ষ দলকে বিপদে ফেলে দেনএই বিশাল পরাজয়ের পর সান মারিনোর উয়েফা কাপ ছাড়াও বিশ্ব ফুটবল হুমকির মুখে পড়ে যায় এবং তারা সেই ধাক্কা এতো বছরেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি


৩. স্পেন ১০-০ তাহিতি


২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন কাপে স্পেনের কাছে তাহিতির ১০-০ গোলের পরাজয়টি বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম একটি লজ্জা জনক পরাজয়ডেভিড ভিলা এই ম্যাচে অনবদ্য হ্যাট্রিক করেন এবং ফার্নান্দো টোরেস ৪ গোল করেনখেলার প্রথমার্ধে স্পেন ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল এবং পরের অর্ধে স্পেন আরও ৬টি গোল করেতাহিতির এই বড় পরাজয়ের পর কনফেডারেশন কাপ থেকে তাদের বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়এই টুর্নামেন্টে তাহিতি অন্য ম্যাচে উরুগুয়ের কাছেও লজ্জা জনক ভাবে ৮-০ গোলে ও নাইজেরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল

২. আর্জেন্টিনা ৬-০ সার্ভিয়া মন্টিনিগ্রো


২০০৬ সালে আর্জেন্টিনা এসেছিল বিশ্বকাপ খেলতে তাদের সর্বকালের সেরা ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনাকে কোচ নিযুক্ত করে এবং তাদের দলে ছিল নতুন তুর্কি লেওনেল মেসিতারা বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে নতুন সার্বিয়া মন্টিনিগ্রোকে ৬-০ গোলে পরাজিত করে নতুন এই দলটিকে লজ্জায় ফেলে দেয়২০০৬ সালের ১৬ জুন জার্মানীর স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার একের পর পর আক্রমণে সেদিন ক্ষত বিক্ষত হয়ে গিয়েছিল সার্বিয়ার রক্ষণভাগ এবং তারা একে একে হজম করে নিয়েছিল ৬টি গোলখেলার প্রথম অর্ধে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল ৩-০ গোলে এবং  দ্বিতীয় অর্ধে তারা সার্বিয়ার জালে আরও ৩ গোল জড়িয়েছিলআর্জেন্টিনার পক্ষে এদিন ম্যক্সি রদ্রিগেজ করেছিল ২ গোল এবং নতুন তুর্কি লেওনেল মেসি ৮৮ মিনিটের মাথায় একটি গোল করে তার জানান দিয়েছিল


১. জার্মানী ৭-১ ব্রাজিল


ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জা জনক পরাজয়টির পাশে লেখা রয়েছে ব্রাজিলের নাম২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে তারা জার্মানীর কাছে ৭-১ গোলে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েস্বাগতিক ব্রাজিল এদিন ঘরের মাঠে ৫৮ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে নেমেছিল ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়েকিন্তু তারা আসলেই জানতো না এদিন তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল এক দুঃস্বপ্নগ্যালারি ভর্তি হাজার হাজার দর্শকের সামনে সেদিন জার্মানীর আক্রমণের মুখে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়েছিল ব্রাজিলের রক্ষণভাগ এবং তারা একের পর এক হজম করেছিল ক্লোসা ও মুলারদের গোলসেদিন নিজের ঘরের মাঠে নিজেদের করুণ অবস্থা দেখে ব্রাজিলের দর্শকদের কান্না ছাড়া কোনও উপায় ছিল নাজার্মানী -ব্রাজিলের এই ম্যাচটি দর্শকদের কাছে সেভেন আপ ম্যাচ নামেও পরিচিত

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.