তাইওয়ান কি স্বাধীন দেশ? চীনের সাথে বিরোধের কারণ কি?
তাইওয়ান বর্তমান বিশ্বের একটি আলোচিত দেশ বা অঞ্চল। চীনের সাথে দীর্ঘ দিনের সংঘাত স্বাধীনতাকামী এই দেশটিকে পরিচিত করিয়েছে বিশ্বব্যাপী। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না তাইওয়ান আসলে স্বাধীন দেশ নাকি চীনের একটি রাজ্য। আজকের ভিডিওতে আমরা তাইওয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
তাইওয়ান বর্তমানে সরকারি ভাবে চীনা প্রজাতন্ত্র। জাপানের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের ঠিক পশ্চিমেই তাইওয়ান দ্বীপের অবস্থান। দ্বীপটি ৩৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৪৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখানে কাড়া পর্বত ও ট্রপিকাল বনও রয়েছে। ২ কোটি ৪০ লক্ষ জনসংখ্যার এই দেশটিতে প্রায় ৫ ধরনের জাতি-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
তাইওয়ান এক সময় ওলন্দাজ কলোনি ছিল। তবে ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে এই অঞ্চলটি। এরপর জাপানীরা দখল করে নেয় এই দ্বীপটি। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া হয় চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকারের হাতে।
একসময় চীন বলতে তাইওয়ানকেই বুঝানো হতো। এমনকি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি হিসেবে তাইওয়ান সরকারই অংশ নিয়েছিল। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ বেইজিং এর সরকারকেই চীনের আসল সরকার বলে স্বীকৃতি দেয় এবং তারপর থেকে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে বিরোধ বাড়তে শুরু করে। ২০০৪ সালে তাইওয়ানের নূতন প্রেসিডেন্ট চেন শুই বিয়ান ঘোষণা দেন তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। মূলত এরপর থেকেই চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার সংঘাত বিশ্ব আলোচনায় আসতে শুরু করে।
তাইওয়ান একটি দ্বীপ রাষ্ট্র এবং তাইওয়ানকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ বলা হয়ে থাকে। এখানে ৩,৫০০ মিটারের ওপরে বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ রয়েছে,যার মধ্যে সর্বোচ্চ শৃঙ্গটির নাম ইউ ইউ শান, এবং এর উচ্চতা ৩,৯৯২ মিটার।
তাইওয়ানের রাজধানীর নাম তাইপে এবং এশিয়ার মধ্যে এটি একটি বৃহত্তম শহর। সমগ্র তাইওয়ান একটি পর্যটন সম্ভার এলাকা। তামসুই, লাংসান টেম্পল, সিলিং নাইট মার্কেট সহ শত শত পর্যটন এলাকা আছে সমগ্র তাইওয়ান জুড়ে। তাইওয়ানের সৌন্দর্য বিশ্বব্যপী সমাদৃত। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ তাইওয়ানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। যদি আপনি তাইওয়ানের সৌন্দর্য দেখতে চান তবে উপরের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই