Header Ads

বিস্ময়কর অ্যাপল পার্ক – দেখে নিন প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য এক জগত

অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা  স্টিভ জবস চেয়েছিলেন এমন একটি অফিস তৈরি করতে যেটাকে অফিস বলে মনে না হয়। সেটি যেন হয়ে ওঠে প্রকৃতি, স্থাপত্য ও প্রযুক্তির এক অসাধারণ মেলবন্ধন। আর তেমনই একটি অফিস তৈরি করেছে বিশ্বের বিখ্যাত এ্যাপেল কোম্পানী। যে অফিসটি বর্তমান বিশ্বের একটি বিস্ময়কর স্থাপনা। আজকের পর্বে আমরা দেখবো এ্যাপেলের সেই বিখ্যাত অফিস।                                               

এ্যাপেলের এই নতুন বিস্ময়কর অফিসটি অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে। এর আসল নাম অ্যাপল পার্ক। এই ভবনের রেপ্লিকা তৈরি করতেই সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। এই অফিসের প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ পরিচালিত হয় সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে। এছাড়া এতে পার্ক করা যায় একসঙ্গে ১৪ হাজার ২০০ গাড়ি। বিশাল এই ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে রয়েছে ১ হাজারেরও বেশি সাইকেল।

প্রায় ১৭৫ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটি। গোলাকার ও চারতলা এই ভবনটির চারদিকে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া। পুরো ক্যাম্পাসের মধ্যমণি একটি কেন্দ্রীয় চারতলা বৃত্তাকৃতি ভবন, যার অফিস স্পেস প্রায় ২৮ লাখ বর্গফুট । এই ভবনের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে শুধু কাচ দিয়ে। এর ভেতরের যে পার্টিশন আছে, সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। 


 

স্টিভ জবসের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এবং তার ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এখানে তৈরি করা হয়েছে আরেকটি স্থাপনা। যার নাম স্টিভ জবস থিয়েটার। সিলিন্ডার শেপের এই অডিটোরিয়ামে প্রায় এক হাজার লোকের আসন রয়েছে। আসনগুলো চামড়ার তৈরি। প্রতিটি আসন তৈরি করতে খরচ হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। থিয়েটারটি অবস্থান করছে মাটির নিচে। আর সেখানে প্রবেশ করতে হলে যেতে হয় বিশেষ এক ধরনের লিফটের মধ্য দিয়ে।

অ্যাপলের নতুন এই ক্যাম্পাস তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। এখানে ১৫ হাজার লোক যাতে দুপুরের খাবার খেতে পারেন, তার জন্য রয়েছে বিশেষভাবে ডিজাইন করা অফিসের সঙ্গে মানানসই পরিবেশবান্ধব ৫০০ টেবিল। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, অ্যাপল পার্কের ভবন স্বাভাবিকভাবেই বায়ু চলাচলযুক্ত। যার ফলে এটিতে শীতলকরণ যন্ত্র বা গরম করার যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় না। বছরের প্রায় ৯ মাসই তাই এ ভবনে এসি চালানোর প্রয়োজন পড়ে না। 

পুরো অ্যাপল ক্যাম্পাসের প্রায় আশি ভাগ এলাকা জুড়ে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া। লাগানো হয়েছে খরা প্রতিরোধী প্রায় ৯ হাজার গাছ। বাগানের ঠিক মাঝে রয়েছে বিশাল একটি পুকুর। যা এই অফিসের পানির চাহিদা পুরোন করে থাকে। এ্যাপেলের এই অফিসটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিমুক্ত, আর তাই একে সিলিকন ভ্যালীও বলা হয়ে থাকে।

 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.