Header Ads

আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শত বছরের বাড়ি

আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়যিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, শিক্ষক, দার্শনিক ও কবিতিনি বেঙ্গল কেমিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কারি নাইট্রেটেরও আবিষ্কারক ছিলেনবাংলাদেশের খুলনা জেলায় এই মহান বিজ্ঞানীর জন্মবর্তমানে তার বাড়িটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং দর্শনীয় স্থানআজকের পর্বে আমরা দেখবো স্যার পিসি রায়ের শত বছরের পুরাতন এই বাড়িটি

স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের বাড়িটি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় রাড়ুলী গ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা২রা আগস্ট ১৮৬১ সালে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এ বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন

পিসি রায়ের মৃত্যুর পর প্রায় শত বছর বাড়িটি পরিত্যক্ত থাকার পর বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করেছেঐতিহাসিক এই বাড়িটি বিখ্যাত কপোতাক্ষ নদীর তীরে অবস্থিত

বাড়িটির সামনেই রয়েছে পাথরে অঙ্কিত প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের একটি ছবিএর একপাশে রয়েছে একটি পুকুরবাড়িটির পিছনের দিকেও রয়েছে একটি পুকুর জনসাধারণের গোসল করার জন্য



পিসি রায়ের বাড়িটির মাঝখানে একটি ফাঁকা স্থানকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে পুরো বাড়িটির নকশাদোতালা মূল ভবনের পাশেই রয়েছে ছোট মন্দির ও একতলা আরও কয়েকটি ভবনসমস্ত বাড়িটি শত বছরের প্রাচীন নকশায় সৃষ্টবর্তমানে বাড়ির ভিতরে চারিধারে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে সুন্দরভাবে

প্রায় ১৭০টি স্তম্ভের উপর বসানো পুরো কমপ্লেক্সটিতে মোট ১৬টি কক্ষ, ৪৫টি দরজা ও প্রায় ১৩০টি জানালা রয়েছেমূল ভবনের ছাদের উপর রয়েছে একটি সিংহ এবং একটি বাঘের মূর্তিবাড়িটির বিভিন্ন দেয়াল ও স্তম্ভে ফুল, লতা ও হরেক রকমের নকশা অঙ্কিত রয়েছেযা বাড়ির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে

মূল ভবনের ছাদটি সরল রেখায় নির্মিতযেটি অনেকটা মোঘল স্থাপত্যের অনুরূপ হিসেবে ধারনা করা হয়পিসি রায় একজন হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও এই বাড়িটি মুঘল এবং মুসলিম স্থাপত্য নকশায় তৈরি করা হয়েছিলধারনা করা হয়, এই বাড়িটি নির্মাণ করেন হরিশ চন্দ্র রায় চৌধুরী

মূল ভবনের উত্তর-পশ্চিম পাশে মহিলাদের বসবাসের জন্য একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়েছিল, যেটি অন্দরমহল নামে পরিচিতএই অন্দরমহলটি প্রধান মহলের অনুরূপ স্থাপত্য নকশায় নির্মিতদোতালা এই মহলটি দক্ষিণ মুখি, এবং ইহার বারান্দায় গোলাকার জোড়া খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছেযে জোড়া খুঁটি গুলি দেখতে সদর মহলের গোলাকার জোড়া খুঁটির অনুরূপ

বর্তমানে ঐতিহাসিক এই বাড়িটি একটি দর্শনীয় স্থান এবং প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই দর্শনীয় স্থানটিতে ভ্রমণে আসে

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.