Header Ads

পবিত্র কাবা শরীফ কি ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে? বিশ্ব পরিস্থিতি কোন দিকে?

মুসলিম বিশ্বের মুসলমানগণ মনে করে থাকেন যে পবিত্র কাবা শরীফ কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত থাকবেএটা মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন কারণ পবিত্র কাবা ঘর মহান আল্লাহর ঘর এবং আল্লাহ কখনও কাউকে এই ঘরের অনিষ্ট করতে দিবেন নাকিন্তু আসলেই কি তাই? আসলেই কি কাবা ঘর কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত থাকবে? আসুন আজকে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করি

আলোচনার শুরুতে আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে কাবা শরীফ ধ্বংস হোক বা না হোক সেই বিষয়ে জানার কি দরকার! বা শেষে যদি দেখা যায় কাবা শরীফ ধ্বংস হবে তাহলে এমন একটি নেতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনারই বা কি দরকার! তবে প্রথমেই আপনাকে জানিয়ে রাখি এমন একটি বিষয়ে আপনার জ্ঞান রাখা অবশ্য কর্তব্য

আমরা মুসলমানরা মহা-গ্রন্থ আল কুরআনে সূরা ফীলে বর্ণিত হস্তী বাহিনী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা সকলেই জানিআবরাহা যখন তার বিশাল হস্তী বাহিনী নিয়ে পবিত্র কাবা ঘর ধ্বংস করতে আসছিল তখন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নির্দেশে আবাবিল নামক এক ধরনের পাখি উপর থেকে কংকর জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করে সমস্ত হস্তি বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছিলএই ঘটনা যখন মুসলমানরা শোনে বা পড়ে তখন সবার মনে এই ধারনা বা বিশ্বাস জন্ম নেয় যে, পবিত্র কাবা ঘর কেউ কোনও দিন ধ্বংস করতে পারবে না এবং মহান আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত পর্যন্ত এই ঘরকে সুরক্ষা দিয়ে যাবেন

কাবা ঘর ধ্বংস হবে কি হবে না সেই বিষয়ে আপনার জানা থাকা দরকার আপনার নিজের ঈমান রক্ষা করার জন্যবর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের উপর অত্যাচার নির্যাতন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে মুসলমানদের উপর বিভিন্ন মিথ্যা প্রপাগণ্ডাবর্তমান বিশ্বে নাস্তিক সমাজ ও ইসলাম বিরোধী সমাজ অনেক বেশি শক্তিশালীতাদের সাথে লড়াই করে নিজের ঈমানকে পাকাপোক্ত করতে অনেক বেশি জ্ঞান রাখা কর্তব্যআর এই জন্যেই আল্লাহ তায়ালা জ্ঞান অর্জনকে ফরজ করেছেনআল্লাহ ফরজ করেননি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জনকে বরং ফরজ করেছেন ইসলামী জ্ঞান অর্জনকেকিন্তু আফসোস! আমরা উল্টো জিনিসটাই করি

আজকাল প্রায় দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্ক করা হয়নাস্তিক ধরনের মানুষেরা মুসলমানদের কথার জালে ফেলে নানান ধরনের ইসলাম বিরোধী কথা ও যুক্তি উপস্থাপন করে থাকেএমন সময়ে মুসলমানরা এই কথার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে থাকে যে আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান এবং আল্লাহ সব কিছু রক্ষা করবেনধরুন আপনার জীবদ্দশায় কাবা শরীফ ধ্বংস হয়ে গেলো, তখন দেখবেন নাস্তিক শ্রেণীর লোকেরা কত উল্লাস করে এবং তারা মুসলমানদের শুনিয়ে শুনিয়ে বলবে, কোথায় তোমাদের আল্লাহ? কোথায় আজ তিনি? তোমাদের আল্লাহর ঘর সাধারণ মানুষে ধ্বংস করে দিলো আর তোমাদের আল্লাহ কিছুই করতে পারলো নাবিশ্বব্যাপী যখন নাস্তিক ও অন্য ধর্মের মানুষেরা এই ঘটনা নিয়ে কথা বলবে, ব্যঙ্গ করবে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে এবং আপনি নিজেই যখন টিভিতে বা ইন্টারনেটে ভিডিওতে দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ আল্লাহর ঘরকে ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলছে তখন আপনার নিজের ঈমানই প্রশ্নের মুখে পড়বেদুর্বল ঈমানের অধিকারী যারা এবং যাদের কাবা ঘরের ভবিষ্যৎ বিষয়ে জ্ঞান নেই সেই দিন তারা বিশ্ব পরিস্থিতি দেখে ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুবরণ করবেমুসলমানরা সহজেই আল্লাহর উপর থেকে বিশ্বাস হারাবে কারণ তাদের মনে ইস্পাত কঠিন বিশ্বাস ছিল যে আল্লাহর ঘরকে কেউ কোনও দিন ক্ষতি করতে পারবে না, কিন্তু যখন তাদের সামনেই কাবা গৃহ ধ্বংস হবে তখন আল্লাহর উপর তাদের ঈমান দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাবে

ঠিক অপর দিক থেকে চিন্তা করে দেখুনধরুন আপনার কাবা ঘরের ভবিষ্যৎ বিষয়ে হাদিস গুলো জানা আছে এবং আপনার জীবদ্দশায় কাবা ঘর ধ্বংস হয়ে গেছেতখন নাস্তিক, মুরতাদ, বা অন্য ধর্মের মানুষদের কোনও কথা, অপবাদ, চিন্তা, চেতনা, বা বিদ্রূপ কোনও কিছুই আপনার ঈমান নষ্টের কারণ হবে নাকারণ, তখন আপনি নিজেই জানতেন যে, এই সময়ে কাবা ঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথাবরং এই বিষয়টি তখন আপনার ঈমানকে আরও মজবুদ করবেকারণ, তখন আপনি নিজেই সত্যতা পাবেন যে, হাজার বছর আগে আল্লাহর রসূল সা: যে বানী দিয়ে গিয়েছিলেন সেটা হাজার বছর পর এসে সত্য হচ্ছেতখন আপনার ঈমান আল্লাহ ও তার রসূল গনের উপর আরও শক্ত হবেতখন আপনার ঈমান এই ভেবে আরও মজবুদ হবে যে হাদিসের কথা যখন সত্য হয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ আছে এবং তিনি যুগে যুগে যে সকল নবী-রসূল পাঠিয়েছিলেন তারাও নিশ্চয়ই সত্য

এবার আসা যাক আসল প্রসঙ্গেদ্বিতীয় ভাগে আলোচনার শুরুতে মূল প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে দেইহ্যাঁ, কাবা শরীফ ধ্বংস হয়ে যাবেকিয়ামতের অনেক আগেই পবিত্র কাবা ঘরকে ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলা হবেএই অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করবো কবে কিভাবে এবং কে বা কারা কাবা ঘরকে ধ্বংস করবেআমরা এটাও জানার চেষ্টা করবো কাবা গৃহ ধ্বংসের পিছনে হাকিকত কি আছে

আবু বকর ইবনু আবু শায়বা ও ইবনু আবু উমার আবু হুরাইরা রা: হতে বর্ণিত, রসূল মোহাম্মদ সা: বলেছেন আবিসিনিয়ার এক ব্যক্তি কাবা ঘরকে ধ্বংস করবেসেই ব্যক্তির পায়ের গোছা ছোট ছোট হবে। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৭১৯৭ এবং ই.ফা. ৭০৪১)

হারমালা ইবনে ইয়াহইয়া (রহ:) আবু হুরাইরা রা: হতে বর্ণিত, রসূল মোহাম্মদ সা: বলেছেন আবিসিনিয়ার এক ব্যক্তি কাবা গৃহকে ধ্বংস করে ফেলবেতার পায়ের গোছা হবে ছোট ছোট। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৭০৯৮ এবং ই.ফা. ৭০৪২)

কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ: আবু হুরাইরা রা: হতে বর্ণিত, ছোট গোছা গোছা পা বিশিষ্ট আবিসিনিয়ার এক ব্যক্তি কাবা ঘরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলবে। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ই.ফা. ৭০৪৩)

রসূল মোহাম্মদ সা: বলেছেন, যুল-সুওয়াইকাতাঈন নামক এক হাবশী লোক কাবা ঘর ধ্বংস করবে। (মুসনাদে আহমদ)। 

উপরিউক্ত সহিহ হাদিস ৪টি প্রমাণ করে যে, আল্লাহর রসূল সা: বলে গিয়েছেন কিয়ামতের পূর্বে পবিত্র কাবা ঘরকে ধ্বংস করে ফেলা হবেআর এই ধ্বংসের কাজটি করবেন আবিসিনিয়া থেকে আগত এক ব্যক্তি এবং যার নাম হবে যুল-সুওয়াইকাতাঈনরসূলের যুগে প্রচলিত আবিসিনিয়া নামক দেশটির বর্তমান নাম ইথিওপিয়া।  এটি আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত একটি দেশইসলামের অতি পরিচিত ব্যক্তি এবং মুসলিম জাহানের প্রথম মুয়াজ্জিন বেলাল রা: এর জন্মভূমি ছিল এই দেশটিএছাড়া রোমানদের পরাজিত করা সেই বীর উসামা বিন যায়েদ (রা.), রসুলুল্লাহ (সা.) এর পারিবারিক সেবিকা উম্মে আয়মান (রা.)এই ইথিওপিয়ার বাসিন্দা ছিলেনইথিওপিয়া সেই ঐতিহাসিক রাষ্ট্র যেখানে মুসলমানরা মক্কার কুরাইশদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রথম হিজরত করেছিলরসুলুল্লাহ (সা.) হজরত আলী (রা.) এর বড় ভাই জাফর ইবনে আবু তালিব (রা.) কে ৮০ জন মুসলমানসহ ইথিওপিয়ায় হিজরতের নির্দেশ দেনবর্তমানে ইথিওপিয়ার মোট জনসংখ্যার ৬২% খ্রিষ্টান ও ৩২% মুসলিম

তবে যখন কাবা গৃহ ধ্বংস করা হবে তখন আবিসিনিয়ার বর্তমান নাম ইথিওপিয়া অক্ষত থাকবে নাকি এই রাষ্ট্র অন্য কোনও শক্তিধর রাষ্ট্রের অধীনে থাকবে সেটা এখন বলা সম্ভব নয়


এবার আসা যাক সময়ের বিষয়েকোন সময়ে কাবা ঘরকে ধ্বংস করা হবে সেটা হিসাব করা অনেক কষ্টেরতবে হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এটা বোঝা যায় কিয়ামতের অনেক বছর পূর্বে কাবা ঘরকে ধ্বংস করা হবেকাবা গৃহকে ধ্বংস করার এই ঘটনার পূর্বে আরও একবার কাবা গৃহ লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করা হবে, তবে সেই হামলা সফল হবে না বরং হামলাকারীদের মহান আল্লাহ তায়ালা মাটিতে ডুবিয়ে দিবেন। 

হযরত হাফসাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি নবী (সা:)-কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, একটি বাহিনী এ কাবা গৃহের বিপক্ষে যুদ্ধ করার ইচ্ছা করবেতারপর তারা যখন বাইদানামক এক ময়দানে পদার্পণ করবে তখন তাদের মাঝের অংশটি ভূমিতে ধ্বসে যাবেএ সময় অগ্রভাগের সৈন্যরা পশ্চাতের সৈন্যদেরকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকতে থাকবেঅতঃপর প্রত্যেকেই ভূমিতে ধ্বসে যাবেবেঁচে যাওয়া একটি ব্যক্তি ছাড়া তাদের কেউ আর বাকী থাকবে নাসে-ই তাদের সম্বন্ধে অন্যদেরকে খবর দিবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭১৩৪, ই.ফা. ৬৯৭৮)

কাবা ঘরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসার এই বর্ণনাটি প্রায় ১০টির বেশি সহিহ হাদিসে বর্ণিত আছেএই হাদিসটি মূলত ইমাম মাহদির আগমনের সময়ের ধারনা দেয়ইমাম মাহদির আত্মপ্রকাশের পর তাকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের মধ্য হতে একটি দল তাকে হত্যার জন্য রওনা হবে এবং পথিমধ্যে বাইদা নামক একটি মাঠে আল্লাহ তাদের ভূমিতে ধসিয়ে দিবেনএই ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী প্রমাণিত হবে যে তিনি সত্যিই ইমাম মাহদি

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় ইমাম মাহদী আগমনের পূর্ব পর্যন্ত পবিত্র কাবা ঘর অক্ষত থাকবেইমাম মাহদি পৃথিবী শাসন করবেন ৭ অথবা ৯ বছর এরপর দাজ্জালের আবির্ভাব এবং হযরত ঈসা আ: এর পৃথিবীতে পুনরাগমন ঘটবেধারনা করা হচ্ছে দাজ্জালের আবির্ভাব বা হযরত ঈসা আ: এর ইন্তেকালের পর পরই কাবা শরীফকে ধ্বংস করা হবে

পরিশেষে আমরা আলোচনা করবো কেন কাবা শরীফকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস হতে দিবেন এবং কেন তিনি তার নিজ গৃহকে কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত রাখবেন নাসত্যিকার ভাবে আল্লাহ কেন কাবা শরীফকে ধ্বংস হতে দিবেন সেটা এক আল্লাহই ভাল জানেনতবে আমরা স্বল্প জ্ঞানে কিছু কারণ আলোচনা করতে পারি

প্রথম কারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি মুসলমানদের পরীক্ষা নেয়াকাবা শরীফকে যখন ধ্বংস করা হবে তখন ইসলাম বিরোধীরা ইসলামের বিরুদ্ধে এবং আল্লাহর অস্তিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে অনেক বেশি উৎসাহ ও ইস্যু খুঁজে পাবেমুসলমানরাও নিজ চোখে দেখবে কাবা গৃহকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হচ্ছে কিন্তু কেউ তা রক্ষা করছে নাএমন অবস্থায় অধিকাংশ মুসলিম দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাবে আসলে আল্লাহ আছে কিনা বা আমরা এতো দিন যা শুনে এসেছি সেটা মিথ্যা কিনাশেষ জামানার বিষয়ে হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তখন ঈমান ধরে রাখা হাতে আগুন রাখার চেয়ে কঠিন হবেকারণ তখন অনেক কিছুই উপস্থিত থাকবে খুব সহজে ঈমান নষ্ট করার জন্য

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা যায় কাবা শরীফের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার্থে আল্লাহ তায়ালা এটি ধ্বংস হতে দিবেনএই পৃথিবীতে মুসলমানরা কিয়ামত পর্যন্ত অবস্থান করবে নাঅন্য নবীদের উম্মতরা যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় পর ধ্বংস হয়ে গেছে ঠিক তেমনি উম্মতে মোহাম্মদির নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে গেলে পৃথিবী থেকে তারাও বিদায় নিবেউম্মতে মোহাম্মদী এই পৃথিবীতে হযরত ঈসা আ: এর বিদায় পর্যন্ত টিকে থাকবে তারপর সমস্ত উম্মতে মোহাম্মদী যাদের অন্তরে অণু পরমাণু পর্যন্ত ঈমান আছে সবাইকে একই সময়ে একই সাথে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিবেনমুসলমানদের বিদায়ের পর আরও বহু বছর এই পৃথিবী টিকে থাকবে এবং এখানে মানুষ বসবাস করবে এবং তারপর কিয়ামত সংঘটিত হবেকিয়ামতের আযাব হবে অনেক বেশি কষ্টের আর তাই এই আযাবের শাস্তি কোনও ইমানদার যেন না পায় তাই আল্লাহ তায়ালা ইমানদারদের কিয়ামতের অনেক বছর আগেই পৃথিবী থেকে তুলে নিবেন

এই বিষয়ে রসূল মোহাম্মদ সা: বলেছেন, “অতঃপর আল্লাহ তায়ালা শাম দেশের দিক থেকে একটি ঠাণ্ডা বাতাস প্রেরণ করবেনএ বাতাসের কারণে যার অন্তরে সামান্য পরিমাণ ঈমান আছে, সেও মৃত্যুবরণ করবেসে যদি পাহাড়ের গুহায় ঢুকে পড়ে বাতাসটিও সেখানে প্রবেশ করে তার জান কবজ করবে

মুসলমান বা ঈমানদারগন পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর সেখানে বাস করবে শুধু বর্বর ও নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষেরাতখন সবাই পাপাচার আর অনাচারে লিপ্ত থাকবেপৃথিবীতে আল্লাহ শব্দটি মুখে আনার মতোও একটি লোক তখন থাকবে নারসূল সা: বলেছেন: ‘‘ঈসা (আঃ) এর আগমনের পরে মুমিনদের অবস্থা খুব ভালভাবেই অতিবাহিত হতে থাকবেএমন সময় আল্লাহ তায়ালা সুন্দর একটি বাতাস প্রেরণ করবেনবাতাসটি প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের বগলের নীচে প্রবেশ করবেএতে তাঁরা মৃত্যু বরণ করবেশুধু দুশ্চরিত্র বান পাপিষ্ঠরাই বেঁচে থাকবেগাধা যেমন গাধীর সাথে প্রকাশ্যে যৌনকর্মে লিপ্ত হয় তারাও অনুরূপভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের চোখের সামনে রাস্তার মাঝখানে জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হবেএই প্রকার নিকৃষ্ট লোকদের উপর কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে

আর এই সময় পর্যন্ত যদি কাবা ঘর টিকে থাকে তবে এই বর্বর মানুষেরা কাবা ঘরকে লক্ষ্য করে এমন কোনও খারাপ কাজ নেই যে করবে নাতাই আল্লাহ তায়ালা নিজ ঘরের মর্যাদা রক্ষার্থে এই সময়ের নিকট পূর্বেই কাবা ঘরকে পৃথিবী থেকে মুছে দিবেনঠিক একই ভাবে সেই সময়ের পূর্বে পৃথিবী থেকে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআনকেও তুলে নিবেন

তৃতীয় ও শেষ কারণ হিসেবে বলা যায় কাবা শরীফের অপ্রয়োজনীয়তাঈসা আ: এর পরের সময়টায় নামাজ রোজা তো দূরের কথা কারও মুখ দিয়ে আল্লাহ শব্দটিও বের হবে নাতখন নামাজ আদায়ের জন্য কেবলা বা হজ্জ্ব করার জন্য কাবা ঘরের কোনও প্রয়োজন পড়বে নাতখন কাবা গৃহের দিকে মুখ ঘুরানোর কোনও মানুষ থাকবে নাআর এই সমস্ত কারণেই হয়তো আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বেই কাবা ঘরকে পৃথিবী থেকে মুছে দিবেন

আশাকরি এবার আপনারা ভবিষ্যতের কাবা ঘরের ইতিহাস বিষয়ে অবগত হয়েছেনকাবা ঘর পূর্বে কয়েকবার বিভিন্ন কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তবে পরবর্তীতে সেটি আবার সংস্কার করা হয়কিন্তু এই সময়ে কাবা গৃহ ধ্বংসের পর আর পুনরায় নির্মাণ করা হবে না

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.