মায়ের জন্য ৩৫০০ কিমি. পথ পাড়ি !
মা, প্রত্যেক ব্যক্তির সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন ও সবচেয়ে
প্রিয় জন। মা’র জন্য
তার সন্তানেরা পৃথিবীর সব কিছু করতে রাজি থাকে। বায়েজিদ বোস্তামি, শেরে বাংলা এ কে
ফজলুল হক সহ অনেকেই সেটার প্রমাণ দিয়ে গেছেন আগেই। মায়ের ইচ্ছা পূরণে বা
মায়ের স্বপ্ন পূরণে সন্তান যে কি করতে পারে তা বর্তমান সময়ে এসে আরও একবার
প্রমাণ দিয়েছেন ফান মেং। ঘটনাটি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের।
মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ফান মেং ৩৫০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিয়েছেন। আর এটা করে তিনি আরও একবার প্রমাণ দিয়েছেন মা’র জন্য সন্তান সব কিছু করতে পারে।
মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ফান মেং ৩৫০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিয়েছেন। আর এটা করে তিনি আরও একবার প্রমাণ দিয়েছেন মা’র জন্য সন্তান সব কিছু করতে পারে।
শৈশব থেকে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ফান মেং এর মা কাউ মিনজুন সারা
দিন হুইল চেয়ারে বসে সময় কাটান। কারণ তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। ১০ বছর
আগে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হবার পর ছেলেকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। ছোট বেলা থেকে
পঙ্গু থাকার কারণে তার নিজ শহর বেইজিংয়ের বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি কখনও। কিন্তু
পত্রিকা ও টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে তার মনে ইউনান প্রদেশের জিশুয়াংবানা শহর
দেখার প্রবল ইচ্ছা জেগে উঠে। তিনি সব সময় সেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু
বিষয়টি তিনি কাউকে বলতে পারছিলেন না, কারণ তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে অক্ষম। কিন্তু
একদিন তিনি তার স্বপ্নের কথা তার সন্তান ফান মেংকে জানান। মা দরদী ফান মেং তার
মায়ের স্বপ্নের কথা জানতে পারা মাত্রই তার মায়ের ইচ্ছা পূরণে সচেষ্ট হন।
চীনের
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘সিনহুয়া’ জানায়, মা’কে নিয়ে ২৬ বছর বয়সী ফান মেং কোনও রকমে জীবন পাড়ি দেন। সরকারি ভাতা, আত্মীয়
স্বজনদের সাহায্য আর ছোট একটি দোকানে বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করে সংসার চলতো
তাদের। মাকে নিয়ে দীর্ঘ পথ যাওয়া ফানের পক্ষে ছিল খুবই কষ্টকর। কিন্তু তার মায়ের
স্বপ্ন পূরণে ফান ছিলেন অবিচল। তাই শেষ পর্যন্ত পথ যত লম্বা হোক না কেন তিনি মাকে
নিয়ে বেইজিং থেকে জিশুয়াংবানা যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বেইজিং থেকে
জিশুয়াংবানা পর্যন্ত ৩৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব গাড়ি বা বিমানে চড়ে যাওয়ার সুযোগ
থাকলেও মাকে পাহাড়ি পথ ধরে পায়ে হেটে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফান। যাতে তার মা পথিমধ্যের
পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে এবং তাদের দরিদ্র সংসারের আর্থিক সাশ্রয় ঘটে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফান মেং তার দোকানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১২ সালের ১১ জুলাই ভোর পাঁচ টায় মা ও তাদের পোষা কুকুরটিকে সাথে নিয়ে বেইজিং থেকে জিশুয়াংবানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। চীনের হেবেই, হেনান, হুবেই, হুনান, গুইঝাউ ও ইউনান প্রদেশের মহাসড়ক ধরে তারা চলতে থাকে অবিরাম। ফান মেং সারাদিন মাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাঁটতেন। কুকুরটি মাঝে মাঝে ফানের সাথে হাটতো আবার কিছু সময় তার মায়ের কোলে বসে পথ চলতো। চলার পথে রাত আসলে তারা যদি সে সময় শহরের ভিতরে থাকতো তাহলে কোনও সস্তা হোটেলে রাত যাপন করতো। আর লোকালয় থেকে ফাকা জায়গায় রাত হলে তারা নিজেরা সেখানে তাঁবু তৈরি করে রাত যাপন করতো।
সারারাত সেই ফাকা জায়গায় তাদের প্রহরা দিত তাদের পোষা কুকুরটি। প্রতিটি দিন হাটার পর ফান ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লেও মাকে তিনি তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখাবেন সেই আনন্দে পরদিন সকালে আবার নতুন উদ্যমে হাটা শুরু করতেন। পথিমধ্যে অনেকে তাদের খাবার দিত আবার অনেক হোটেল মালিক ফানকে তার মায়ের প্রতি ভালবাসা দেখে তাদের বিনা মূল্যে থাকতেও দিয়েছিল। দীর্ঘ ১০০ দিন অক্লান্ত হাটার পর ১২ অক্টোবর ২০১২ তারিখ ফান মেং তার মাকে নিয়ে জিশুয়াংবানা পোঁছান।
এই দীর্ঘ সফরে ফানের মোট খরচ হয়েছিল ১ হাজার ২৭০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৮ হাজার ইউয়ান। সেখানে পৌঁছানোর পর সেখানের অধিবাসীরা নাচ-গানের মধ্য দিয়ে ফান ও তার মাকে স্বাগত জানায়। ফান এর মা তার স্বপ্নের শহরে পৌঁছানোর পর বলেন, আমি আজ শুধু আমার ছেলের কারণেই এখানে আসতে পেরেছি। আমার সন্তানই আমার সবকিছু।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফান মেং তার দোকানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ২০১২ সালের ১১ জুলাই ভোর পাঁচ টায় মা ও তাদের পোষা কুকুরটিকে সাথে নিয়ে বেইজিং থেকে জিশুয়াংবানার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। চীনের হেবেই, হেনান, হুবেই, হুনান, গুইঝাউ ও ইউনান প্রদেশের মহাসড়ক ধরে তারা চলতে থাকে অবিরাম। ফান মেং সারাদিন মাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে হাঁটতেন। কুকুরটি মাঝে মাঝে ফানের সাথে হাটতো আবার কিছু সময় তার মায়ের কোলে বসে পথ চলতো। চলার পথে রাত আসলে তারা যদি সে সময় শহরের ভিতরে থাকতো তাহলে কোনও সস্তা হোটেলে রাত যাপন করতো। আর লোকালয় থেকে ফাকা জায়গায় রাত হলে তারা নিজেরা সেখানে তাঁবু তৈরি করে রাত যাপন করতো।
সারারাত সেই ফাকা জায়গায় তাদের প্রহরা দিত তাদের পোষা কুকুরটি। প্রতিটি দিন হাটার পর ফান ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লেও মাকে তিনি তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখাবেন সেই আনন্দে পরদিন সকালে আবার নতুন উদ্যমে হাটা শুরু করতেন। পথিমধ্যে অনেকে তাদের খাবার দিত আবার অনেক হোটেল মালিক ফানকে তার মায়ের প্রতি ভালবাসা দেখে তাদের বিনা মূল্যে থাকতেও দিয়েছিল। দীর্ঘ ১০০ দিন অক্লান্ত হাটার পর ১২ অক্টোবর ২০১২ তারিখ ফান মেং তার মাকে নিয়ে জিশুয়াংবানা পোঁছান।
এই দীর্ঘ সফরে ফানের মোট খরচ হয়েছিল ১ হাজার ২৭০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৮ হাজার ইউয়ান। সেখানে পৌঁছানোর পর সেখানের অধিবাসীরা নাচ-গানের মধ্য দিয়ে ফান ও তার মাকে স্বাগত জানায়। ফান এর মা তার স্বপ্নের শহরে পৌঁছানোর পর বলেন, আমি আজ শুধু আমার ছেলের কারণেই এখানে আসতে পেরেছি। আমার সন্তানই আমার সবকিছু।
সালাম জানাই সেই ফান মেং কে মায়ের প্রতি তার অবিচল ভালবাসার জন্য ।
উত্তরমুছুনঠিকই বলেছেন সাদ্দাম, মায়ের প্রতি সবার এমন ভালবাসা থাকা উচিত। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মুছুন