এম্বুলেন্স এর যাত্রা শুরু যেভাবে - এম্বুলেন্স এর ইতিহাস
অসুস্থ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে বাহনটি
সারা বিশ্বব্যাপী
প্রচলিত সেটিকেই বলা হয় এম্বুলেন্স। এটি এমন একটি বাহন যাতে করে মারাত্মক অসুস্থ
কোনও রোগীকে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পূর্বে যখন এই বাহনের প্রচলন
ছিল না তখন কোনও ব্যক্তি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাধারণ যানবাহন বা পায়ে
হেটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো এবং অনেক সময় পথিমধ্যে রোগী মারা যেত। আবার কোথাও
কোনও বিপদ, বিপর্যয় ও দূর্ঘটনা ঘটলে সাইরেন বাজাতে বাজাতে সবার আগে যে বাহনটি
সাহায্যে এগিয়ে আসে সেটি এই এম্বুলেন্স।
আজকালকের সময়ে এম্বুলেন্সে রোগী
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া খুবই সহজ এবং নিরাপদ কিন্তু একটা সময় এমনটা ছিল না। আজকে
আমরা যে এম্বুলেন্স
দেখে থাকি প্রথম দিকে কিন্তু এটা এমন ছিল না। কালের
বিবর্তনে এটি
আধুনিক হয়ে বর্তমানে এখানে এসে দাড়িয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন জাগে প্রথম দিকের
এম্বুলেন্স গুলি কেমন ছিলো? হ্যাঁ, দর্শক, আজকে আমি জানাবো এম্বুলেন্স এর বিবর্তন
সম্পর্কে। ইতিহাসের প্রথমে এম্বুলেন্স কেমন ছিলো এবং কিভাবে এম্বুলেন্স আজ এমন পর্যায়ে
এসেছে সকল
ইতিহাস আজ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করবো।
এম্বুলেন্স এর পরিচয়:
এম্বুলেন্স (Ambulance) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Ambulare থেকে এসেছে। যার শাব্দিক অর্থ হাটা বা সামনে আগানো। বিশ্বের
ইতিহাসে প্রথম এম্বুলেন্স এর ধারনা পাওয়া যায় অতি প্রাচীন কালে। ধারনা করা হয় এখান
থেকে প্রায় ৩০০০ বছর আগে রোগীকে ঠেলা গাড়িতে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়
স্থানান্তর করার পদ্ধতি চালু হয়। তবে দ্রুত বাহন হিসেবে এম্বুলেন্স এর যাত্রা
আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় ১৪৮৭ সালে স্পেনে। ইতিহাস অনুযায়ী ৯০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে
প্রথম যখন এম্বুলেন্স ব্যবহার শুরু করা হয় তখন এম্বুলেন্স তৈরি করা হতো চট বা দড়ির
চাদর দিয়ে বিছানা নির্মাণ করার মাধ্যমে। এরপর এই চাদরকে দুই
চাকার ঘোড়ার গাড়ির সাথে সংযুক্ত করে দ্রুত গতির এম্বুলেন্স তৈরি করা হতো। প্রথম এই এম্বুলেন্স তৈরির কারিগর ছিলেন
এঙ্গলো
স্যাকসন নামক এক ব্যক্তি। একাদশ শতাব্দীর দিকে যখন ক্রুসেড
শুরু হয় তখন আহত সৈনিকদের এমন ঘোড়ার তৈরি এম্বুলেন্সে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো। তবে তখন এম্বুলেন্স ঠিক জনসাধারনের
জন্য ব্যবহার শুরু হয়নি।
এম্বুলেন্সকে জরুরী কোনও কাজে লাগানোর প্রথম ইতিহাসটি
জানা যায় ১৪৮৭ সালে স্পেনে রানী ইসাবেলা এর সময়ে। এই সময়ে কোনও যুদ্ধে স্পেন
বাহিনীর সৈনিকরা আক্রান্ত হলে তাদের যুদ্ধ বিরতির আগ পর্যন্ত হাসপাতালে নেয়া হতো
না। যুদ্ধ বিরতির আগ পর্যন্ত আহত সৈনিকদের এম্বুলেন্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হতো।
এই সময় এম্বুলেন্সের আকার আকৃতির প্রথম বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। আর এই পরিবর্তনটি
সম্পাদন করেন নেপোলিয়ন বোনাপার্টের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জেন ল্যারি। তার সময়ে এম্বুলেন্সে
দুই চাকার বদলে চার চাকা ব্যবহার শুরু হয়। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে চিকিৎসক জেন ল্যারি
সৈনিকদের সাথে থাকতেন, যখন
কোনও সৈনিক আহত হতো তখন তাকে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হতো এবং পরে একাধিক সৈনিককে একত্রিত করে এক সাথে এম্বুলেন্সে
করে চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া হতো।
১৮৩২ সালের দিকে লন্ডনে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা
দিলে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়ার জন্য প্রথম সেখানে এম্বুলেন্স
এর ব্যবহার শুরু হয়। স্বল্প সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে এই সার্ভিস চালু থাকার কারণে
এই ব্যবস্থা খুব বেশি জনপ্রিয়তা বা আধুনিকতার ছোয়া পেতে পারেনি। ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫
সাল পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এম্বুলেন্স এর যাত্রা শুরু করা হয়। জোসেফ
বার্নেস ও জনাথান লেটারম্যান নামক দুই মার্কিন নাগরিক তৎকালিন সময়ে এম্বুলেন্সের
উন্নতির জন্য বেশ কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য সংযুক্ত করেন। তারা এম্বুলেন্স
এর ভিতরে রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য বিশেষ নতুন কিছু যন্ত্রপাতি সংযোগ
করেন। তাদের তৈরিকৃত দুই চাকা বা চার চাকার গাড়িতে একসাথে
দুই থেকে তিন জন রোগী বহন করা যেত।
এতো সময় আমি যে ইতিহাস গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম এটি ছিল
এম্বুলেন্স প্রচলনের প্রথম দিকের প্রাচীন ইতিহাস। এই সময়ে এম্বুলেন্সকে শুধুমাত্র
আহত সৈন্যদের পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতো কিন্তু জনসাধারণ কিংবা বানিজ্যিকভাবে এম্বুলেন্সের
প্রচলন তখনও শুরু করা হয়নি।
বাণিজ্যিকভাবে হাসপাতাল কেন্দ্রিক এম্বুলেন্স সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয় ১৮৬৫
সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহেওতে। যুক্তরাষ্ট্রে এম্বুলেন্স সার্ভিসের যাত্রা শুরু করার
দুই বছর পর তাদের দেখাদেখি ১৮৬৭ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন মেট্রোপলিটন বোর্ড ছয়
ঘোড়া বিশিষ্ট এম্বুলেন্স
এর প্রচলন করে। ব্রিটিশদের তৈরি করা বাহন গুলো ছিল অনান্য বাহনের চেয়ে দ্রুত গতির
এবং সর্ব প্রথম তাদের তৈরিকৃত বাহনে রোগীকে আরামে শোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। যুক্তরাজ্যের নতুন এই ব্যবস্থা দেখে ১৮৮৯ সালে নিউইয়র্কের
বেললোভি হাসপাতাল চার চাকা বিশিষ্ট ঘোড়ার গাড়ির এম্বুলেন্স
সার্ভিসের বানিজ্যিক যাত্রা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এম্বুলেন্স
সেবা প্রধানত অভিজাত শ্রেণীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো, ফলে জনসাধারণের মাঝে এই
বাহনের কোনও ব্যবহার ছিলো না।
১৯১০ সালে আয়ারল্যান্ডে রয়্যাল ডাবলিন সোসাইটির পক্ষ
থেকে সর্বপ্রথম সাধারণ জনগণের জন্য এম্বুলেন্স সেবার
ব্যবস্থা করা হয়। তারাই সর্বপ্রথম সাধারণ জনগণ অসুস্থ হলে তাদের এম্বুলেন্স
সার্ভিস ব্যবহার করে দ্রুত পাশ্ববর্তী হাসপাতালে পৌছে দিতো। প্রথম দিকে এই সেবা
তেমনভাবে জনপ্রিয়তা না পেলেও ধীরে ধীরে এটি জনগনের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে।
১৯ শতকের দিকে অটোমোবাইল গাড়ির প্রচলন বৃদ্ধি পেলে চার চাকার
গাড়িকে এম্বুলেন্স
তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। রোগীদের আরও দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য
১৮৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিকাগোর মাইকেল রিসি হাসপাতাল কর্তপক্ষ প্রথম
অটোমোবাইল এম্বুলেন্স
ক্রয় করে। শিকাগোর ৫০০ বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ীর অনুদানের টাকায় এই এম্বুলেন্সটি ক্রয় করা
হয়। প্রথম দিকের অটোমোবাইল এম্বুলেন্স
চলতো বিদ্যুৎ শক্তিতে
এবং গাড়ি গুলোর শক্তি ছিল দুই হর্স পাওয়ার। গ্যাসোলিন দ্বারা চালিত প্রথম এম্বুলেন্স
এর প্রচলন হয় সর্বপ্রথম কানাডায় ১৯০৫ সালে। ১৯০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানিনগাম
কর্তৃক একটি আধুনিক এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু হয়। সে সময় তাদের অটোমোবাইল গাড়িটির
গতি ছিল ৩২ হর্স পাওয়ার।
মূলত এই সময়ের পর থেকে এম্বুলেন্স সার্ভিসের দ্রুত আধুনিকায়ন ও বিকাশ ঘটতে থাকে। প্রত্যেক দেশে দেশে এম্বুলেন্স এর
প্রচার ও প্রচলন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং একই সাথে বিভিন্ন দেশে
এম্বুলেন্স এর উন্নয়ন ঘটতে থাকে। ১৯১৪ সালের ১ম মহাযুদ্ধ ও ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সালের
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমগ্র বিশ্ব একে অপরের সাথে যুদ্ধে
অবতীর্ণ হলে এই সময়গুলোতে এম্বুলেন্স এর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সময়গুলোতে এম্বুলেন্স এর উত্তরোত্তর আরও উন্নয়ন সাধিত হতে থাকে। এই সময়
বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে ভিন্ন ভিন্ন মডেলের
এম্বুলেন্স ব্যবহার করতে শুরু করে।
সমগ্র বিশ্ব যখন মোটামুটি একই ধাচের এম্বুলেন্সের সাথে নিজেদের
মানিয়ে নিয়েছে তখন ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়া এম্বুলেন্স সেবায় নতুন এক বিপ্লবের সূচনা
করে। ঘোড়ার গাড়ি ও
অটোমোবাইল এম্বুলেন্স সার্ভিসের পর রোগীকে আরও দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া
সর্বপ্রথম এয়ার এম্বুলেন্স
বা বিমান এম্বুলেন্স এর সূচনা করে। এই সার্ভিসের চিন্তা প্রথম মাথায় এসেছিল
অস্ট্রেলিয়ার এক মেডিকেল ছাত্র ক্লিফফোর্ড পিল এর মাথায়। তারা সেই চিন্তাকে
বাস্তবে রুপ দিয়ে সমগ্র বিশ্বে মোটামুটি হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার বিমান
কর্তারা।
বর্তমান আধুনিক সময়ে এসে এম্বুলেন্স সার্ভিসের আরও ব্যাপক
উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
বর্তমানে সড়ক, নৌ
ও আকাশ পথের দ্রুততর এম্বুলেন্স সার্ভিস রয়েছে। সরকারি, বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক, ব্যক্তিগত
সহ বিভিন্ন ধরনের এম্বুলেন্স সার্ভিস এখন দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানের এম্বুলেন্সগুলোতে সংযুক্ত করা
হয়েছে রোগীকে এম্বুলেন্সের
ভিতরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার নানা ধরনের উপকরণ ও যন্ত্রপাতি। এম্বুলেন্সকে বিপদের
সময় দ্রুত কাছে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা সরকারিভাবে হট লাইনের ব্যবস্থা
করা হয়েছে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে সৈনিকদের নিরাপদে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য
বর্তমানে প্রত্যেক দেশের সামরিক বাহিনীতে সংযুক্ত করা হয়েছে বুলেট প্রুফ, বোমা
প্রুফ ও শক্তিশালী এম্বুলেন্স সার্ভিস। যুদ্ধ ক্ষেত্রের এম্বুলেন্স গুলোতে গাড়িতে
রোগীকে দ্রুত পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এম্বুলেন্স সংযুক্ত সামুদ্রিক জাহাজ
হাসপাতাল রয়েছে। যুদ্ধের সময় আহত সৈনিকদের এই জাহাজে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ২০০০
সালের পর বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠার পর দেশে দেশে এম্বুলেন্স
সার্ভিসকে আরও উন্নত ও আধুনিক করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও
ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে এখন হরামেশায় বিমান এম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার এম্বুলেন্স ও জল
এম্বুলেন্সের ব্যবহার করা হয়। নরওয়েতে বিশেষ এক ধরনের বোট এম্বুলেন্স আছে যে গুলো
সামুদ্রিক এলাকায় রোগী পরিবহনে ব্যবহার করা হয়। জার্মানীতে রয়েছে বাস এম্বুলেন্স
সার্ভিস, যেটিতে একই সাথে ৫০ জনের মতো রোগীকে পরিবহন করা যায়। শহরে কোনও রকম অপ্রিতিকর
ঘটনা ঘটলে এই এম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয়। কলম্বিয়াতে ট্রাকের মতো এক ধরনের
এম্বুলেন্স ব্যবহার করা হয় যেটি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত রোগী পরিবহনের জন্য
ব্যবহার করে থাকে। রাশিয়াতে রয়েছে হসপিটাল ট্রেন। রোগীরা এই ট্রেনে চেপে শহরের
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে পারে। এই ট্রেনে রয়েছে এম্বুলেন্স
সার্ভিসের জন্য সুযোগ সুবিধা সহ আলাদা কেবিন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোতে
বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এম্বুলেন্স সার্ভিস যাত্রা শুরু করেছিল অনেক
পরে। আনুমানিক ১৯৬০ সালের পরে এই রাষ্ট্রগুলোতে এম্বুলেন্সের বাণির্জিক প্রচলন
শুরু হয়। বর্তমানে এই রাষ্ট্র গুলোতে এম্বুলেন্স সার্ভিস যুগোপযোগী হলেও উন্নত
বিশ্বের চেয়ে সেবা ও আধুনিকতায় পিছিয়ে আছে।
দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে যে বাহনটি
সবচেয়ে বেশী উপকারী সেটি হচ্ছে এম্বুলেন্স। মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন মনে হয়
চোখের পলকে উড়ে হাসপাতালে যেতে পারলে ভাল হতো। চোখের পলকে না যেতে পারলেও ঠিকই
এম্বুলেন্স মানুষকে দ্রুত হাসপাতালে পৌছে দেয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এম্বুলেন্স
সার্ভিস সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে সমাজের উচ্চ শ্রেণী থেকে শুরু করে নিম্ন
শ্রেণীর সবাই এম্বুলেন্স এর সেবা গ্রহণ করতে পারছে। আর তাই এম্বুলেন্সকে বলা হয় বিপদের
বন্ধু। হ্যা, আরও সামনে এগিয়ে যাক আমাদের বিপদের বন্ধু এবং উন্নত হোক আমাদের
স্বাস্থ সেবা।
কোন মন্তব্য নেই