Header Ads

যুদ্ধ জাহাজের যাত্রা শুরু যেভাবে

পৃথিবীর সূচনা থেকেই যুদ্ধ-বিগ্রহ একটি সাধারণ বিষয়। গোত্র, সমাজ বা দেশ প্রত্যেক বিভাগেই রয়েছে যুদ্ধের ইতিহাস। যুদ্ধ নিয়ে আসে দুঃখ, কষ্ট এবং ভয়াবহতা, তারপরও বন্ধ নেই যুদ্ধ। আমাদের এই পৃথিবীতে এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যার মধ্যে আমরা দেখেছি দুটি বিশ্ব যুদ্ধ। সমরে রণাঙ্গনে বিজয়ের জন্য প্রত্যেক রাষ্ট্রের রয়েছে নিজস্ব যুদ্ধ সরঞ্জাম। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, রাইফেল, বোমা, বিমান সহ অসংখ্য যুদ্ধের সরঞ্জাম রয়েছে প্রত্যেক দেশের।


যেগুলোর মধ্যে আরও একটি অন্যতম সরঞ্জামের নাম যুদ্ধ জাহাজ। নৌবাহিনীরা সাধারণত যুদ্ধ জাহাজ পরিচালনা করে থাকে। নিজ দেশের জল সীমাকে রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক দেশ যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করে থাকে। নিজ দেশ রক্ষা ছাড়াও অন্যদেশকে আক্রমণের জন্য দরকার হয় যুদ্ধ জাহাজের। পূর্বে যখন বিমানের প্রচলন ছিল না তখন যুদ্ধের ক্ষেত্রে জাহাজ ছিল যুদ্ধের প্রধান বাহন। বর্তমানে যুদ্ধে আকাশ পথে বিমান সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়, তবে যুদ্ধ জাহাজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় নি। বরং বর্তমানের যুদ্ধ জাহাজগুলো পূর্বের চেয়ে আরও বেশী শক্তিশালী ও আধুনিক। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও আধুনিক যুদ্ধ বিমান রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

তবে আবার এমন একটি সময় ছিল যখন যুদ্ধের জন্য কোনও জাহাজ ছিল না। ফলে সমুদ্রপথে যে যুদ্ধ করা সম্ভব এ কথা কেউ ভাবেনি। খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের আগে যুদ্ধ করার জন্য জাহাজের ব্যবহার ছিল কল্পনা। সমুদ্রকে যে যুদ্ধের ময়দান বানানো যায় সে চিন্তা প্রথম আসে পর্তুগালদের মাথায়। তারাই প্রথম নৌপথে যুদ্ধ করার জন্য বানিয়ে ছিল বিশাল এক যুদ্ধজাহাজ। বিশ্বের প্রথম এই যুদ্ধ জাহাজটি ছিল সাধারণ একটি জাহাজের মতোই। যুদ্ধের জন্য পরিপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ তৈরি হয় মূলত বুদ্ধিমান ইংরেজদের হাতে পড়ে।

ইংল্যান্ডের স্যার জন হাওকিন নিজের চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেন একটি যুদ্ধজাহাজ, যেটি ছিল সাধারণ নৌকা থেকে মাঝারি মানের। অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় এর গতি ছিল অন্যদের তুলনায় বেশি। এরপর আরও বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে পরিপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করেন স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক। তার নকশাকৃত যুদ্ধজাহাজটি ছিল এমন যে, তাতে সৈনিক থাকবে চার থেকে পাঁচজন। জাহাজের ডেকটা থাকবে অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং জাহাজে সারিবদ্ধ করে রাখা থাকবে দুই বা ততোধিক বন্দুক। 

কোনও পর্তুগিজরা সমুদ্রপথে যুদ্ধের জন্য পালতোলা নৌকার ব্যবহার উদ্ভাবন করলেও ভারসাম্য রক্ষার জন্য তারা সেই নৌকায় তুলে নিতেন কিছু প্রাণী। সেই প্রাণী তারা ব্যবহারও করতেন নানা কাজে। কোনও কোনও নৌবন্দরে জাহাজ নঙর করার পর সবার অজান্তে সেই জাহাজে উঠে পড়তো নতুন কিছু প্রাণী। আবার বিভিন্ন ঘাটে নেমেও যেত তার মধ্য থেকে কিছু কিছু প্রাণী। এই ভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যেত নতুন নতুন বিভিন্ন প্রাণী এবং তারা বংশবিস্তার করত দেশে দেশে। নিজ সন্তান দিয়ে ভরিয়ে ফেলত পুরো অঞ্চল। এ কারণেই সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারেও দেখা যায় একই প্রজাতির বিভিন্ন প্রাণী! ১৯০৩ সালে এডমিরাল ভিট্টোরিও কুনিবার্ট যুদ্ধ জাহাজকে আধুনিকতা প্রদান করেন।

প্রথম যুদ্ধ জাহাজ আবিষ্কারের পর এটি দেশে দেশে প্রতিবছর সংস্কার হয়েছে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত করা হয়েছে যুদ্ধ জাহাজে বর্তমান আধুনিক বিশ্বের যুদ্ধ জাহাজ গুলো সবচেয়ে বেশী আধুনিক গুণগত মাণ সমৃদ্ধ বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র মারণাস্ত্রতে পরিপূর্ণ বর্তমান যুদ্ধ জাহাজগুলো নিজেকে রক্ষা কয়েক মাইলের মধ্যে নিজের আধিপত্য রক্ষার সকল ক্ষমতা রয়েছে বর্তমান যুদ্ধ জাহাজগুলোতে ভবিষ্যতে যুদ্ধ জাহাজগুলো আরও বেশী সমৃদ্ধ হবে

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.