Header Ads

ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্ম যেভাবে

ইসরাইল বিশ্বের মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি রাষ্ট্র। ইসরাইল ঠিক যে পন্থায় বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে মনে হয় আর কোনও রাষ্ট্র এমন পন্থায় পরিচিতি লাভ করেনি। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের উন্নয়ন ও আধুনিকতার কারণে সারা পৃথিবীতে পরিচিত তবে ইসরাইল এমন একটি দেশ যে দেশটি বিশ্বে হত্যাযজ্ঞের কারণে পরিচিত। খবরের পাতা উল্টালেই বা টিভি অন করলেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের খবর ও ইসরাইলের নির্মমতার খবর অহরহ শোনা যায়।

মুসলমানরা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করে থাকে। এই ঘৃণার পিছনের কারণও অযথা নয়, কারণ এই ইসরাইলের হামলায় গত ৪০ বছরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের রক্ত ধারা প্রবাহিত হয়েছে। বিনা দোষে কোনও প্রকার কারণ ছাড়াই ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যা করে এবং রক্তে রঞ্জিত করে মুসলিম এলাকা। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে ইসরাইল বাহিনী। ফলে ইসরাইল সকল মুসলিমদের চোখে প্রধান শত্রু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদ পুষ্ট ইসরাইল বিশ্বের কোনও দেশকেই তোয়াক্কা করে না। তারা নির্বিচারে প্রতিনিয়ত হত্যা করে চলেছে মুসলমানদের। কিন্তু তাদের দমন করার যেন কেউ নেই।

মধ্যপ্রাচ্যের সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরাইল ভূমধ্য সাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। ইসরাইলের রাজধানীর নাম জেরুজালেম। বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রই ইসরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিব্রু ও আরবি। ২০ বর্গ কিলোমিটারের এই রাষ্ট্রটির অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই ইহুদী ধর্মাবলম্বী। ইসরাইল রাষ্ট্রটির জন্ম ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ, বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কৌশলে ইসরাইল রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মাঝখানে ইসরাইল একটি জ্বলন্ত সমস্যার নাম। আসুন এখন জানা যাক কিভাবে বহুল আলোচিত এই ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল।

১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মুসলমান শাসকদের অদূরদর্শিতা এবং ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে তুরস্কে মুসলিম খিলাফত ভেঙ্গেযায়। ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৭ সালে ইরাক, সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিন পবিত্র জেরুজালেম দখল করে নেয়। ব্রিটিশরা প্রথম ফিলিস্তিনে পদার্পণ করে ফিলিস্তিন জয়কারী মুসলিম বীর সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবীমাযার শরীফ এ গিয়ে তার মাযারে পদাঘাত করে উচ্চস্বরে বলতে থাকে হে সালাহ উদ্দিন  উঠে দেখ আমরা তোর সিরিয়া জয় করে এসেছিপ্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড ফ্রান্সের দখলে। 

১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। কিন্তু ব্রিটিশরা চাইনি ইহুদীদের ইউরোপে জায়গা দিয়ে জঞ্জাল সৃষ্টি করতে। কারণ তারা জানতো ইহুদীরা ঐতিহ্যগতভাবেই শয়তান। ইহুদীদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্রের চিন্তা শুরু হলে পৃথিবীর কোন দেশ তাদের ভূখণ্ডে ইহুদীদের বসাতে রাজী হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বেলফোর ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রে গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

ইহুদীদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে দুর্বল শক্তির কারণে প্রথম পর্যায় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান রাষ্ট্র সমূহ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আগমনকে বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়। ইহুদীরা ফিলিস্তিন আসা শুরু করলে ১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা কয়েক হাজারে উন্নীত হয়। কিন্তু ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজারে উন্নীত হয়। এরপর শুরু হয় বিশ্ব ইহুদীদের একত্রিত করার কাজ। 

মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ, তাদের শক্তি খর্ব, তাদের মাঝে অনৈক্য স্থাপন ও মুসলমানদের দমনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে ইহুদী অভিবাসীদের ধরে এনে ফিলিস্তিনে জড়ো করার কাজ শুরু করা হয়। ফলে ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়। ধীরে ধীরে ইসরাইল ইহুদীদের জন্য নিরপরাধ ও স্বাধীন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠার ফলে সেখানে ইহুদীর সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৩১ সালে ইহুদীদের সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায় এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়।

১৯১৮ সালে ব্রিটেনের সহযোগিতায় ইসরাইলের গুপ্ত ইহুদী বাহিনী "হাগানাহ" গঠিত হয়। এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে। প্রথম পর্যায়ে ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়। ফিলিস্তিনী জনগণের বাড়িঘর ও ক্ষেতখামার দখল করে তাদেরকে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা এবং বাজার ও রাস্তাঘাটসহ জনসমাবেশ স্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিলিস্তিনীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ছিল হাগানাহ বাহিনীর প্রধান কাজ। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাসকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি একটি স্বাধীন ও একচ্ছত্র মুসলমানদের এলাকা হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিতরা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। 

জাতিসংঘ ইহুদীদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে মার্কিন ও ব্রিটেনের চক্রান্তকে সফল করার উদ্দেশ্যে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বিরোধিতাকে তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে। এই প্রস্তাব অনুসারে জাতিসংঘ মুসলমানদের প্রাণের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি জোর করে ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। এভাবে ফিলিস্তিনের ভূমিকে জোর পূর্বক দখল করে গঠন করা হয় নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল। 

১৯৪৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছোট রাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিতে থাকে জাতিসংঘে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্যমার্কিনদের প্রবল চাপ ও মুসলমানদের দুর্বলতার সুযোগে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েলকে জাতিসংঘ ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা প্রদান করে।

স্বাধীনতা লাভ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাহায্যে ইসরাইল অস্ত্র-শস্ত্র ও শক্তিতে পরাক্রমশালী হয়ে উঠে। যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল সেই ফিলিস্তিনকে পরাধীন করে ফিলিস্তিনের বাকি ভূমিগুলোকেও দখলের পায়তারা করতে থাকে ইসরাইল। বিনা অপরাধে, বিনা উস্কানিতে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো মার্কিনীদের সেবা দাসে পরিণত হওয়ায় তারা ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে খুব বেশী আন্দোলন মুখর হতে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইসরাইলকে ঘৃণা করলেও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি ছিল মিশর।

ফিলিস্তিনি ভূমি জোর করে দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে। ১৯৬৪ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠন PLO প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে ফিলিস্তিনিরা। ইয়াসির আরাফাতের ইন্তেকালের পরও এখনো স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে চলেছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীরা।

ইসরাইলের বর্তমান জনসংখ্যা ৭৪ লক্ষ ৬৫ হাজার। আমেরিকার মদদে ইসরাইল এখন এতটাই শক্তিশালী যে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। মুসলমানদের শক্তি হিসেবে বর্তমানে ইসরাইলকে চোখ রাঙ্গিয়ে আসছে ইরান। আর তাই ইরান-ইসরাইল এখন এক রণাঙ্গনের নাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যেদিন বিশ্ব মানচিত্র থেকে ইসরাইলের নাম আবার মুছে যাবে। তবে সেটির জন্য দরকার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে একতা। সত্যিই কি মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল? এখন শুধু অপেক্ষার পালা!

৪টি মন্তব্য:

  1. Thanks for wrtten of this subject. I think, Israel is the shame of middle east muslim countrys. Thanks again.

    উত্তরমুছুন
  2. ইসরাঈল.ইসরাঈল নাম শুনলে আমার মাথায় যন্ত্রনা শুরু হয়। দোষ তো আমাদের অল্প সংখ্যক জারজ ইহুদিদের ভয়ে আমরা তার সাথে মিত্রতা করি।স্বাধীন দেশ হিসাবে শিকৃতি
    দি।তাদের পক্ষের গুনগান গাই।বিনিময়ে পাই প্যালেস্টাইন বাসির তাজা রক্ত।শিশুর করুন কান্না আর মা বোনের বুক ফাটা আর্তনাদ।আর আমরা আরামে সুখবিলাসে মত্ত।

    আর বসে থাকার সময় নয় সমগ্র মুসলিম জাতি একতাবদ্ধ হতে হবে।তাহলে আমেরিকা ইসলায়েলের পরাজয় সুনিশ্চত।যেমন টা হিজবুল্লার সাথে 22 দিনের যুদ্ধে পরাজয় আর গাজায় 8 দিনের যুদ্ধে শিয়ালের মত পিছে পলায়ন।সেদিন বেশি দুরে নয় যেদিন আমরা দেখবো ইসরাইল রাষ্ট্র বলে কীছু নেই ইতিহাসে পরিনিত হয়েছে। এখন দরকার মুসলমানের একতা পরস্পরে কাধে কাধ মিলিয়ে শয়তানদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করা।

    আমি আল্লাহর কাছে কামনা করি যেন আমি আ ই এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি। বাচলে বিজয় আর মরলে নিশ্চিত জান্নাত। অপেক্ষায় আছি কবে সেই মুহুর্ত্য গুলো পাবো যেদিন মুসলিম রক্তের বদলা নিতে পারবো।

    উত্তরমুছুন
  3. এরকম একটা সুন্দর সত্যের পোষ্ট পেয়েছি তাই লেখক বড়ভাই মুতাসিম বিল্লাহ (সুমন) কে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।
    ভাল থাকবেন।

    উত্তরমুছুন
  4. ধন্যবাদ Md. Taleb আপনার এমন সুন্দর ও দীর্ঘ মতামতের জন্য। ইসরাইল মূলত মুসলমানদের নির্যাতন করে থাকে মুসলমানদের দোষে। নানান অনৈক্য ও বিভেদের কারণে আজ মুসলমানরা শত দলে বিভক্ত। যতদিন মুসলমানরা একতাবদ্ধ না হতে পারবে ততদিন ইসরাইলকে কেউ দমন করতে পারবে না। মুসলমানরা ইসরাইলকে ধ্বংস করতে চাই আবার তাকে ঘৃণা করে কিন্তু তাদের সাথে যুদ্ধ করতে বললে তখন ঘরে দরজা দিয়ে পালিয়ে থাকে। এটা শুধু আরব বিশ্ব নয় সমগ্র মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের একই অবস্থা। ইসরাইল সম্পর্কে আপনার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগলো। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার মনের আশা পূর্ণ করেন। দোয়া করি তিনি যেন আপনাকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একজন মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নেন। ভাল থাকেন।

    উত্তরমুছুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.